“মুজিববর্ষের অঙ্গিকার গৃহহীন থাকবে না আর একটি পরিবার” এই স্লোগানকে সামনে সামনে রেখে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ গৃহের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সারাদেশে ২৬ হাজার ২শত ২৯ টি ভূমিহীন -গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের ভ্যার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে এর শুভ উদ্বোধন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আজকে ৫জন এর আগে ২৯৫ জনসহ মোট ৩০০ টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে গৃহের চাবি এবং জমির কাগজপত্র হস্তান্তর করেন উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা আক্তার।

এ সময় ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি। তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলার গরীব মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, আজ সেই হাসি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ফুটিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান সফিউল আজম চৌধুরী লায়ন বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একজন মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশিদা আক্তার বলেন, এ মহৎ উদ্যোগের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত অবশিষ্ট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরপক্ষ থেকে গৃহ নির্মাণ করে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। ফলে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না।

এ ছাড়াও উপকারভোগী হাসানুর বলেন, হামরা এই ঘর পেয়া মেল্লা খুশি হইছি। ছাওয়া পাওয়া নিয়া একনা শান্তিতে ঘুমিবার পারিমো।

অপর আরেকজন উপকারভোগী বলেন, গৃহহীনরা স্থায়ী আবাসভূমি প্রাপ্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা আহমেদ শাহ, খানসামা থানা অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায়, কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায়, প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ রানা, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মোকলেছুর রহমানসহ উপজেলার বিভিন্ন কর্মচারী কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও সংবাদকর্মীসহ আরো অনেকে।